চর কুকরি মুকরি দ্বীপ
একদিকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ, বৈরী বাতাস আর জলোচ্ছ্বাসের গর্জন আর অন্যদিকে দেশের মূলভূখন্ডের সঙ্গে জেগে ওঠা চোখ ধাঁধানো সবুজ দ্বীপ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। বলছি চর কুকরি মুকরির কথা। এখানেই রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। দেখতে পাবেন নানা প্রজাতির পশু-পাখি ও সরীসৃপ প্রাণী। শিয়ালের দল, হরিণের পাল, আর বন্য মহিষের বিশাল বাহিনীগুলো নিজ চোখে দেখতে বিশেষ কোন ভাগ্য না নিয়ে গেলেও অনায়াসে চোখের আঙিনায় চলে আসবে এরা। নাম না জানা হাজার রকমের গাছের সাথে সারি সারি নারিকেল গাছ আর বিশাল বালুকাময় চরটি দেখে মনে হবে আপনার অবস্থান কোন এক সৈকত পাড়ে। শীতকালে দেখা মিলবে হাজার হাজার অতিথি পাখির ৷
চর কুকরি মুকরি ভোলা জেলা শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অনেকটা সাগরের কোল ঘেষে মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীর মোহনায় গড়ে ওঠা একটি চর। বঙ্গোপাসাগরের কোল ঘেষে মেঘনা নদীর মোহনায় এর অবস্থান। চারিদিকে জলরাশিদ্বারা বেশিষ্ট প্রমত্তা মেঘনার উত্তাল ঠেউয়ে পলি জমতে জমতে এ দ্বীপটির জন্ম। সাগরের কোল ঘেষে জন্ম নেওয়ায় কুকরি মুকরিকে অনেকে স্বপ্নের দ্বীপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৯৯ বছর আগে অর্থাৎ ১৯১২ সালে এই দ্বীপের জন্ম। প্রমত্তা মেঘনা যেখানে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলেছে, সেই সঙ্গমস্থলেই চর কুকরি মুকরি জেগে ওঠে। চরটি জেগে ওঠার পর থেকেই এখানে নানা প্রজাতির বৃক্ষরাজি, তরুলতা জন্মাতে থাকে। ১৯৭৪ সালে উপকূলীয় এলাকায় বনায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এরপরই বন বিভাগ এখানে পরীক্ষামূলকভাবে বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এই কর্মসূচিই পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে সৃজিত বনসমূহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েক শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
চর কুকরি মুকরির অভয়াশ্রমে প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, বানর, শিয়াল, উদবিড়াল, বন্য মহিষ-গরু, বন মোরগ, বন-বিড়াল প্রভৃতি। এছাড়া বক, শঙ্খচিল, মথুরা, বন মোরগ, কাঠময়ূর, কোয়েল ইত্যাদি নানান প্রজাতির পাখি ও সরিসৃপ রয়েছে। শীতকালের এই চর কুকরি মুকরিতে বিপুল পরিমানে অথিতি পাখির আগমন ঘটে। এছাড়া কুকরি মুকরি চরের সমুদ্র সৈকত নিরিবিলি ও পরিছন্ন। এর বনভূমিতে প্রায় ৯ কোটিরও বেশি জীবন্ত গাছ রয়েছে। চর কুকরিমুকরি বুক চিঁড়ে বয়ে যাওয়া ভাড়ানি খাল মেঘনা নদী হয়ে আছড়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। চরের বালিয়াড়ির ধরে ঢাল চর অতিক্রম করে সামনে এগোলেই বঙ্গোপসাগর। এখানেও কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আবহ খুঁজে পাবেন। স্থানীরা এই জায়গাটিকে বালুর ধুম নামে চেনে। কুকরিমুকরির সাগরপাড় থেকেও সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্থের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
এখানকার ধু-ধু বালিয়াড়ির ওপর দাঁড়ালে সাগরের শোঁ শোঁ শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাবে না। একটু সামনে এগোলেই ঢাল চর। এরপরই বঙ্গোপসাগর। এখানে উত্তাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখলেই মনে পড়ে যাবে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কথা। স্থানীয় মানুষ এ স্পটটিকে বালুর ধুম নামে ডাকে। তবে কুকরি মুকরির প্রধান আকর্ষণ সাগরপাড়। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত কিংবা সূর্য ডোবার দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করবে।
ইতিবৃত্ত
কুকরি মুকরি সম্পর্কে ঐতিহাসিকভাবে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয় ১৯১২ সালে এ চর জেগে উঠে। তৎকালীন জার্মান যুবরাজ প্রিন্স ব্রাউন জনমানবহীন এই চরে জাহাজ নিয়ে আসেন শিকারের উদ্দেশে। দেখতে পান একটি বিড়াল ও কুকুর ছোটাছুটি করছে। সেই দৃশ্যাবলী তাকে মনে করিয়ে দেয় নির্জন এই চরের নামকরণ। পরে জার্মানের অনূদিত রূপ হিসেবে বাংলায় যার নামকরণ হয়ে যায় চর কুকরি মুকরি। পর্তুগিজ ও ওলন্দাজরা দস্যুবৃত্তি লুটতরাজ করে এই চরে আশ্রয় নিত। এই দ্বীপকন্যাকে প্রকৃতির রুদ্ররোষ থেকে রক্ষা করতে জেগে ওঠা চরগুলো সংরক্ষণে ১৯৪৭ সাল থেকে এখানে বনায়ন করা হয়। ওই কর্মসূচিই পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প হিসেবে রূপলাভ করে।
কথিত আছে, এক সময় এই চরে শুধু কুকুর আর ইঁদুর (স্থানীয়দের কাছে যা মেকুর নামে পরিচিত) ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়তো না। আর তাই এই চরের নামকরণ হয় কুকরি মুকরি। চর কুকরি মুকরির বনে যেসব প্রাণী দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে চিত্রা হরিণ, বানর, উদবিড়াল, শিয়াল প্রভৃতি। আর পাখি ও সরীসৃপ হিসেবে এই বনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বক, বনমোরগ, শঙ্খচিল, মথুরা, কাঠময়ূর, কোয়েল, গুঁইসাপ, বেজি, কচ্ছপ ও নানা ধরনের সাপ। ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে চর কুকরি মুকরি এলাকায় প্রশাসনিক উদ্যোগে বনায়নের কাজ শুরু হয়। এই সময় মূলত শ্বাসমূলীয় গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন শুরু করা হলেও পরে ক্রমে ক্রমে যুক্ত হয় সুন্দরী, গেওয়া, পশুর প্রভৃতি গাছের চারা রোপণ করা। এছাড়া গোটা এলাকায়ই চোখে পড়ে বিপুলসংখ্যক কেওড়া গাছ। মূলত বিশাল এলাকায় গড়ে ওঠা এসব গাছ, আশপাশের নারিকেল গাছ, বাঁশ ও বেত বন মিলেই এখানেই তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় একটি ম্যানগ্রোভ শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চল। এছাড়া এখানকার সমুদ্র সৈকতটিও বেশ পরিচ্ছন্ন ও নিরিবিলি। বালুর ধুম, পাতিলা অরণ্যে রয়েছে হাজার হাজার মায়াবী হরিণ। ছোট্ট নৌকায় চেপে ছোট্ট লেকে নিঃশব্দে নিশ্চুপে চলতে গেলে দেখা যাবে মায়াবী হরিণের ছোটাছুটি। পরিবেষ্টিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, সর্পিল লেক, বালুকাময় তীর, সি-বিচ, সামুদ্রিক নির্মল হাওয়া, তরঙ্গ গর্জন সবই চর কুকরী মুকরির বালুর ধুমে, যা মনোমুগ্ধকর রূপসজ্জা আর প্রকৃতির লীলাভূমি। অন্যান্য চরের চেয়ে কুকরি মুকরি অনেকটা আলাদা প্রকৃতির। এখানে অন্যান্য সৈকতের চেয়ে নিসর্গিক সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্য বিদ্যমান।
শীতকালে এই চরের আসল রুপ, সৌন্দর্য দেখা যায় এবং পুরো চর পায়ে হেঁটে বেড়ানো যায়। তাছাড়া ক্যাম্পিং করতে চাইলে অবশ্যই শীতকালে যেতে হবে; না হলে মূল চরে ক্যাম্প করা যাবে না। বর্ষার সময় এই চর প্রায়ই ডুবন্ত থাকে তাই বর্ষায় না যাওয়াই ভালো ৷ সবচেয়ে ভালো সময় জানুয়ারী–মার্চ মাস ৷
দর্শনীয় স্থান
সম্পূর্ণ চরটি ঘুরে দেখার মত সুন্দর। বনের ভেতরে ঘুরে বেড়াতে পারেন, দেখা হয়ে যাবে অনেক হরিন, মহিষ আর শিয়াল বা তাদের দলের সাথে। বনে হাঁটার সময় সাবধান থাকবেন বিভিন্ন বিষাক্ত পোকা মাকড় ও সাপ থেকে। সন্ধ্যার আগেই বন থেকে বেড়িয়ে আসুন। আগে থেকে রাস্তা মনে রাখা উচিত, না হলে রাস্তা হারিয়ে ঘোরপাক খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই চরের কাছাকাছি ঢাল চর, চর মানিক, সোনার চর, রুপার চর সহ বেশ কিছু চর আছে। চাইলে কুকরি মুকরি থেকে রিসার্ভ ট্রলার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এসব চরে ৷ ট্রলারের মাঝি বাবুল: ০১৭৪৫৪৩২২৩৭
যাতায়াত
সদরঘাট থেকে সাব্বির, কর্ণফুলী, রাসেল, টিপু বা রায়হান লঞ্চে (ডাবল কেবিন ১৬০০ / সিঙ্গেল কেবিন ও আছে) ঘোষের হাট লঞ্চ টার্মিনাল, ভোলা যেতে পারেন। ঘাটে নেমে মোটরসাইকেলে ১৫০ বা টেম্পোতে ৭০-৮০ টাকায় চরফ্যাশন (Char Fashion) সদর। সেখান থেকে বাসে ৩০ অথবা মোটরসাইকেলে ২০০ টাকায় দক্ষিণ আইচা। তারপর ১৫ বা ৩০ টাকায় টেম্পো বা মোটরসাইকেলে চর কচ্ছপিয়া। এরপর ট্রলারে ২০-২৫ টাকা (চাইলে রিজার্ভ করতে পারেন এক হাজার টাকায়) চর কুকরি মুকরি।
আরেকটি উপায় ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ভোলার বেতুয়া গামী লঞ্চে উঠে পরুন। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ থেকে ৮ টা পর্যন্ত ভালো মানের কয়েকটা লঞ্চ ছাড়ে। ডেকের ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা, সিংগেল কেবিন ১০০০, ডাবল কেবিন ১৮০০ টাকা। রাতে লঞ্চেই খেতে পারেন। খাবার মোটামুটি ভালোই আছে। খাবার অর্ডার করার সময় দাম জিজ্ঞেস করে নিয়েন।
বেতুয়া পৌছাবেন আনুমানিক ভোর ৫ টায়। সম্ভব হলে লঞ্চ থেকে ৬ টায়, মানে আলো ফুটার পর বের হন। বেতুয়া ঘাট থেকে অটো নিয়ে চলে যান চর ফ্যাশন বাস টার্মিনালে, অটো ভাড়া জনপ্রতি ৩০/৪০ টাকা, সময় লাগবে ২০/২৫ মিনিট। চর ফ্যাশন থেকে আপনি চর কচ্ছপিয়া যাওয়ার জন্য বাসে উঠে পরুন। সময় লাগবে ১ ঘন্টা থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত আর ভাড়া গুনতে হবে ৫০ টাকার মত।
চর কচ্ছপিয়া থেকে দক্ষিন আইচা ঘাট যাওয়ার জন্য আবার অটো নেওয়া লাগবে। ভাড়া লাগবে সনপ্রতি ১৫/২০ টাকা। চর কচ্ছপিয়া থেকে কুকরি মুকরি যাওয়ার ট্রলার পাবেন৷। ভাড়া লাগবে জনপ্রতি ৪০ টাকা আর সময় লাগবে আনুমানি ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মত। চর কুকরি মুকরি ট্রলার ঘাট থেকে চর মুন্তাজ, আর চর মুন্তাজ থেকে চর কচ্ছপিয়া ঘাট রিসার্ভ ট্রলার (১৫/১৬ জনের) ৩৫০০ টাকার মত। দামাদামী করা লাগবে।
- এম ভি ফারহান-২ লঞ্চ- ০১৭৩২ ১৮৪১৩২
- এম ভি টিপু-৪- ০১৭১২৫৬১২৩৪
- নিউ সাব্বির-২- ০১৭৫৩৮৩৫৮৫৮
- প্রিন্স অফ রাসেল- ০১৭১২ ৫৬১৫২০
- নিউ সাব্বির-৩- ০১৭৯৯০৮৯৪৫৩
থাকার ব্যবস্থা
চর কুকরি মুকরিতে কোন আবাসিক হোটেল বা রিসোর্টের ব্যবস্থা নেই। থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে উঠতে হবে। সেখানের বর্তমান(২০১৫) চেয়ারম্যান জনাব হাসিম মহাজনের সাথে বা তার সেক্রেটারি জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। জেলা পরিষদের সামনে আছে বিশাল ফাঁকা মাঠ আর পুকুর। বাজারের পাশেই এই ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়া বাজারে যে দুইটি খাবারের হোটেল আছে তাদের বললেও কোন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিবে ৷
তবে সবচেয়ে সহজ আর মজাদার থাকার ব্যবস্থা হলো চরে ক্যাম্প করে থাকা। এতে খরচ যেমন বাঁচবে, সাথে পাবেন প্রাকৃতিক এক অন্যরকম ভিন্ন পরিবেশ। এই চরের যেখানে খুশি ক্যাম্প করতে পারেন, সম্পূর্ণ নিরাপদ। ক্যাম্প করার জন্য এখানে আছে, বিশাল জায়গা। আপনি যেখানে ইচ্ছা ক্যাম্প করতে পারবেন। তবে বনের ভিতরে ক্যাম্প করা থেকে বিরত থাকবেন। বনের পাশে বিশাল বালুর চর যেখানে ইচ্ছে ক্যাম্প করতে পারেন।
মূল চরের আগে একটি খাল আছে তা পার হয়ে ৩০০-৪০০ মিটার সামনের কিছু জায়গা আছে বনের পাশে গাছের ছায়ায় সেখানে ক্যাম্প করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই স্থানীয় কারো কাছে জোয়ারের পানি কতদূর পর্যন্ত আসে তা জেনে নিবেন। এখন পর্যন্ত যারা ব্যাকপ্যাকিং করেছেন আমার জানামতে সবাই এখানেই ক্যাম্প করেছিলেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মাঠেও ক্যাম্প করতে পারেন ৷
চেয়ারম্যান সাহেবের সেক্রেটারি মোঃ জাকির: ০১৭৯৯৬৬৯৪১
খাবারের ব্যবস্থা
কুকরি মুকরি বাজারে দুটি খাবার হোটেল আছে, একটি নিমাই হোটেল যা সুমন ভাইয়ের অন্যটি মিজান ভাইয়ের। অর্ডার দিলে আপনার মন মত মেনু রেডি করে দিবে। ব্যাকপ্যাকিং করেও নিজেরা রান্না করে খেতে পারবেন ৷ এই চরে লাকড়ির অভাব নেই ৷
যেখানে ক্যাম্প করবেন তার আশেপাশে ১০-২০ মিটার হাঁটলেই তিন চারদিনের লাকড়ি যোগাড় হয়ে যাবে। যদি ব্যাকপ্যাকিংয়ে নিজেরা রান্না করে খেতে না চাইলে হোটেলে বলে দিতে পারেন, রান্না করে আপনার কাছে পৌঁছে দিবে। তাছাড়া স্থানীয় অনেক লোক আছে যারা ব্যাকপ্যাকারদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করে থাকে ৷
আর বাজার থেকে ড্রাম ভাড়া নিয়ে মিষ্টি পানির ব্যবস্থা করতে পারবেন। নদীর পানি লবণাক্ত তাই পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। শুধু পান করা ছাড়া ভুলেও মিষ্টি পানি খরচ করবেন না, কারণ প্রায় ৩ কি.মি. হেঁটে আপনাকে এই পানি সংগ্রহ করতে হবে, না হয় জোয়ার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যা অনেক সময় সাপেক্ষ ও কষ্টসাধ্য ৷
খাবারের হোটেল সুমন: ০১৭১৪৯৩৩৯৮১
খাবারের হোটেল মিজান: ০১৭৩৭৫০৯৬৭
পরামর্শ ও সতর্কতা
- যেহেতু চর এলাকা তাই গাড়ির কোন ব্যবস্থা নাই, যাদের হাঁটার অভ্যাস নাই বা অনিহা তারা না যাওয়াই ভালো।
- বনের ভিতরে ক্যাম্প করা থেকে বিরত থাকুন।
- বনের বেশি গহীনে যাবেন না, আর গেলেও অন্তত দু জন নিয়ে যাবেন যেন পথ হারিয়ে না ফেলেন।
- যেহেতু বন্য প্রানীর অভয়ারণ্য, তাই তাদের চলার পথে বাধার সৃষ্টি করবেন না বা প্রাণীকে ভয় দেখাবেন না।
- শিয়ালের উৎপাত বেশ ভালোই এই চরে তাই রাতে তাবু থেকে নিরাপদ দূরত্বে ক্যাম্প ফায়ার করবেন অবশ্যই।
- হরিণ শিকার থেকে বিরত থাকবেন, ইহা দণ্ডনীয় অপরাধ।
- প্রকৃতির উপড় কোন খারাপ প্রভাব পড়ে এমন কাজ থেকে বিরত থাকুন।
- হৈ হল্লুর, চিল্লাচিল্লি থেকে বিরত থাকুন। খালি পায়ে বনের ভিতর হাঁটবেন না।
- ক্যাম্প স্থান নোংরা করবেন না।
- এই অঞ্চলে বিদ্যুতের কোন ব্যবস্থা নেই, তাই অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখুন। আর বাজারে সোলার পাবেন সেখানেও মোবাইল চার্জ করতে পারেন যা অনেক সময়সাপেক্ষ।
- স্থানীয়দের সাথে ভালো ব্যবহার করুন, তাদের অমায়িক ব্যবহারে আপনি নিজেও মুগ্ধ হবেন।
- যে কোন সমস্যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করুন, খুবই ভালো আর অমায়িক একজন মানুষ। বিশেষ করে টুরিস্টদের জন্য বেশ হেল্পফুল একজন মানুষ।
- নদীতে গোসলে সতর্কতা অবলম্বন করুন, সাতার না জানলে বেশী দূর যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- গ্রামীনফোন ও রবির নেটওয়ার্ক পাবেন এই চরে তাই এরকম অপারেটর এর সিম সচল রাখুন ৷
তথ্য সহযোগিতার প্রয়োজনে যোগাযোগ: সুমন হোসাইন, উদ্যোক্তা, কুকরী মুকরী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার , চরফ্যাশন, ভোলা। মোবাইল- 01729646888
Comment (1)
Great content! Super high-quality! Keep it up! 🙂