ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর
সিটি অব হিলসা খ্যাত চাঁদপুর পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব সড়ক পথে ১৬৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। চাঁদপুর জেলার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা; পূর্বে কুমিল্লা জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সিগঞ্জ জেলা, শরিয়তপুর জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে।
চাঁদপুর জেলার মোট আয়তন ১৭০৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা ২৬,০০,২৬৩ জন। ১৮৭৮ সালে ত্রিপুরা জেলা (পরবর্তীতে যা কুমিল্লা নামে পরিচিত) যে তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত হয়, তার মধ্যে চাঁদপুর অন্যতম। ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর জেলায় উন্নীত হয়।
চাঁদপুর জেলা ৮টি উপজেলা, ৮টি থানা, ৭টি পৌরসভা, ৮৯টি ইউনিয়ন, ১০৪১টি মৌজা, ১৩৬৫টি গ্রাম ও ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। উপজেলা ০৮টি হচ্ছে- চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, কচুয়া, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ।
লোকসংস্কৃতি- চাঁদপুরের লোকসাহিত্য মূলত বৃহত্তর কুমিল্লার লোক সাহিত্যেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর মধ্যে আছে লৌকিক পুরাকাহিনী, গাথা-গীতিকা, কিস্সা-কাহিনী, কিংবদন্তি, জনশ্রুতি, উপকথা-রূপকথা প্রভৃতি। এছাড়া আছে শুল্লুক, প্রবাদ-প্রবচন, দেহতত্ত্ব, পাঁইচালী, গাজির বট, যাত্রা, কবির গান ইত্যাদি। চাঁদপুরের উল্লেলখযোগ্য লোকগীতির মধ্যে কোন্দা, সরঙ্গা, পাতাম, পম, সুট, অথার লখাই, সারফোশ, কোলা ডিঙ্গি প্রভৃতি নৌকার উল্লেখ আছে। লোকক্রীড়ার মধ্যে হা-ডুডু, দাড়িয়াবান্ধা, গোল্ললাছুট, ডাংগুলি, খুঁটিদাড়া, লাইখেলা, বউচি খেলা, কানামাছি, কমলাচুরি, বাঘবন্দী, পাঁচঘুঁটি, ষোলঘুঁটি, মার্বেল খেলা, কড়ি খেলা, কাঠি খেলা, কুমারী খেলা, সীম বীচি খেলা, লাটিম খেলা, কুৎকুৎ খেলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
দর্শনীয় স্থান
- শাহিরাস্তি (রহ.) মাজার শরীফ
- শ্রী শ্রী মেহার কালিবাড়ী
- খিলা বাজার সেতু
- চিকটিয়া সেতু
- নোয়াগাঁও ঐতিহাসিক বড় বাড়ি জামে মসজিদ
- ডাকাতিয়া নদী
- মনসা মুড়া, দোয়াটি, কচুয়া
- সাহারপারের দিঘী, রহিমানগর, কচুয়া
- উজানীতে বেহুলার পাটা, উজানী, কচুয়া
- তুলাতলী মঠ, তুলাতলী, কচুয়া:
- সাহেবগঞ্জ নীল কুঠি, সাহেবগঞ্জ
- লোহাগড় মঠ, লোহাগড়, ফরিদগঞ্জ
- রূপসা জমিদার বাড়ী, রূপসা, ফরিদগঞ্জ
- হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ, হাজীগঞ্জ
- হযরত মাদ্দাখাঁ (রঃ) মসজিদ ও মাজার শরীফ, আলীগঞ্জ, হাজীগঞ্জ
- বলাখাল জমিদার বাড়ী, হাজীগঞ্জ
- নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধী স্থল, নাসিরকোর্ট, হাজীগঞ্জ
- নাগরাজাদের বাড়ি, মঠ ও দিঘী, কাশিমপুর, মতলব উত্তর
- তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর, ভিঙ্গুলিয়া, হাইমচর, চাঁদপুর
- অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ
- আলমগীরী মসজিদ
- ইলিশ চত্বর
- ওনুয়া স্মৃতি ভাস্কর্য
- কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি
- গজরা জমিদার বাড়ি
- গুরুর চর
- চাঁদপুর বন্দর
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ
- চাঁদপুর সরকারি কলেজ
- চৌধুরী বাড়ি
- তুলাতুলী মঠ
- দুর্লভ জাতের নাগলিঙ্গম গাছ (জেলা প্রশাসক বাংলো)
- নাওড়া মঠ
- পদ্মা-মেঘনার চর
- পর্তুগীজ দুর্গ, সাহেবগঞ্জ
- ফাইভ স্টার পার্ক
- বখতিয়ার খান মসজিদ
- বলাখাল জমিদার বাড়ি
- বড়কুল জমিদার বাড়ি
- বড়স্টেশন মোলহেড নদীর মোহনা (চাঁদপুর সদর)
- বোটানিকাল গার্ডেন
- বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি
- মঠখোলার মঠ
- মনসা মুড়া
- মত্স্য জাদুঘর
- মেঘনা নদীর তীর
- যাত্রা মুনির মঠ
- রক্তধারা স্মৃতিসৌধ
- রাগৈ মুঘল আমলের ৩ গম্বুজ মসজিদ
- রামচন্দ্রপুর বড় পাটওয়ারী বাড়ী (ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন)
- রূপসা জমিদার বাড়ি
- লোহাগড় জমিদার বাড়ি
- লোহাগড় মঠ
- লুধুয়া জমিদার বাড়ি
- শপথ চত্বর
- শহীদ রাজু ভাস্কর্য
- শাহ সুজা মসজিদ
- শাহাবুদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ
- সত্যরাম মজুমদারের মঠ
- সাচার রথ
- সাহাপুর রাজবাড়ি
- হযরত শাহরাস্তি (রহ.) এর মাজার
- হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ (৬ষ্ঠ বৃহত্তম)
- শোল্লা জমিদার বাড়ি
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- অরুন নন্দী – সাঁতারু।
- আ ন ম এহসানুল হক মিলন – রাজনীতিবিদ।
- আইউব আলী খান – ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।
- আজিজ আহমেদ – সেনাপ্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
- আতিকুল ইসলাম – সঙ্গীতশিল্পী।
- আবদুর রব মিঞা – ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।
- আবদুল আউয়াল – ভাষা সৈনিক, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।
- আবদুল জব্বার পাটোয়ারী – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আবদুল হাকিম – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আবদুল হালিম – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আবু ওসমান চৌধুরী – সেক্টর কমান্ডার, ৮নং সেক্টর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ।
- আবু তাহের – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আবুল কাশেম ভূঁইয়া – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আবুল হোসেন – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আব্দুল করিম পাটওয়ারী – ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।
- আমিন উল্লাহ শেখ – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আশেক আলী খান – চাঁদপুর জেলার প্রথম মুসিলম গ্র্যাজুয়েট এবং শিক্ষাবিদ।
- আহমদ জামান চৌধুরী – চলচ্চিত্র সাংবাদিক, চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং গীতিকার।
- ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল– বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিবাহিনীর বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার এবং রাজনীতিবিদ।
- এম এ ওয়াদুদ – ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
- এম বি মানিক – চিত্র পরিচালক, বিএফডিসি।
- এম রাশেদ চৌধুরী – প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী।
- এলাহী বক্স পাটোয়ারী – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- এস ডি রুবেল –– সঙ্গীতশিল্পী।
- ওয়ালিউল্লাহ পাটোয়ারী – শিক্ষাবিদ।
- ওয়ালী উল্লাহ নওজোয়ান –– ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।
- ওয়াসিম – চলচ্চিত্র অভিনেতা।
- কবির বকুল – গীতিকার এবং সাংবাদিক।
- খান বাহাদুর আবিদুর রেজা চৌধুরী – রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী।
- গৌতম বুদ্ধ দাশ – চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
- জাফর মাঈনউদ্দিন – রাজনীতিবিদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- ঢালী আল মামুন – চিত্রশিল্পী।
- দিলদার – অভিনেতা।
- দীপু মনি – রাজনীতিবিদ।
- দেলোয়ার হোসেন – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- নওয়াব আলী – ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ।
- নাজিম উদ্দিন মোস্তান – একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।
- নুরুন নাহার বকুল – জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ (২০১৪) প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা।
- নূর আহমেদ গাজী – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- নূরজাহান বেগম – মাসিক বেগম পত্রিকার সম্পাদক।
- নূরজাহান বেগম মুক্তা –– রাজনীতিবিদ।
- নূরুল আমিন রুহুল – রাজনীতিবিদ।
- নূরুল হক –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- নূরেজ্জামান ভুঁইয়া –– রাজনীতিবিদ এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সৈনিক।
- পুষ্পিতা পপি –– অভিনেত্রী।
- প্রবীর মিত্র –– চলচ্চিত্র অভিনেতা।
- ফারুক আহমদ পাটোয়ারী – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর – লেখক, চিত্র সমালোচক এবং শিক্ষাবিদ।
- মনিরুল ইসলাম – চিত্রশিল্পী।
- মমিনউল্লাহ পাটোয়ারী – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মহিউদ্দীন খান আলমগীর – রাজনীতিবিদ।
- মিজানুর রহমান চৌধুরী – প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
- মুনতাসীর মামুন – লেখক এবং শিক্ষাবিদ।
- মুহম্মদ শফিকুর রহমান –– সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ।
- মুহাম্মদ আব্দুল জলিল – ইসলামী রাজনীতিবিদ।
- মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী।
- মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন – বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ আবদুল মমিন – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ আবদুল হাকিম – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ আবেদ মিয়া – প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
- মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী – আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ।
- মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন – সাংবাদিক এবং মাসিক সওগাত পত্রিকার সম্পাদক।
- মোহাম্মদ বজলুল গণি পাটোয়ারী– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ – বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- মোঃ নুরুল হুদা – বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।
- মো. সবুর খান – প্রতিষ্ঠাতা, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি।
- রফিকুল ইসলাম – লেখক এবং দেশের প্রথম নজরুল গবেষক।
- রফিকুল ইসলাম – সেক্টর কমান্ডার, ১নং সেক্টর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সংসদ সদস্য।
- রসু খাঁ – বাংলাদেশের প্রথম ধারাবাহিক খুনি।
- রাশেদা বেগম হীরা – রাজনীতিবিদ।
- রাস্তি শাহ – ইসলাম ধর্ম প্রচারক।
- রেজাউল করিম – ফুটবলার ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক।
- রৌশন আরা বেগম – পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি এবং বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পুলিশ সুপার।
- শাইখ সিরাজ – গণ মাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিচালক ও বার্তা প্রধান, চ্যানেল আই।
- শান্তনু কায়সার – সাহিত্যিক।
- শামসুল হক – বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- শাহেদ আলী পাটোয়ারী – আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
- সাদেক বাচ্চু – অভিনেতা।
- সালাহউদ্দিন আহমেদ – বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- সিরাজুল ইসলাম – মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
- সিরাজুল মওলা – বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- হাশেম খান – চিত্রশিল্পী।
- হুমায়ূন কবীর ঢালী – শিশু সাহিত্যিক।
যাতায়াত
সড়ক পথে- ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলোর মধ্যে পদ্ম এক্সপ্রেস ও মতলব এক্সপ্রেস অন্যতম।
ঢাকা সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্য যে কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যায় তার মধ্যে এম.ভি. রফরফ অন্যতম। প্রতিদিন নিচের সময় অনুযায়ী লঞ্চ ছেড়ে যায়-
#ঢাকা_থেকে_চাঁদপুর
- সকাল ৭:২০ এ=> এম ভি সোনারতরী(লঞ্চটি অফ থাকলে প্রক্সি হিসেবে সোনারতরী-২
- সকাল ৮ টা=> এম ভি নিউ মেঘনা রানী(প্রক্সি বোগদাদীয়া৮/৯)
- সকাল ৮:৩৫=>এম ভি বোগদাদীয়া-৭
- সকাল ৯:১০=> এম ভি আব এ জমজম-১(প্রক্সি এম ভি তাক্বওয়া)
- সকাল ৯:৫০=> এম ভি মিতালী-৪
- সকাল ১০:৩০=>এম ভি স্বর্ণদ্বীপ-৪/৭/৮/প্লাস
- সকাল ১১ টা=> এম ভি ইমাম হাসান-৫(প্রক্সি এম ভি ইমাম হাসান-০)
- সকাল ১১:৪৫=> এম ভি ইমাম হাসান-২(প্রক্সি এম ভি ইমাম হাসান-০)
- দুপুর ১২:৩০=> এম ভি ময়ূর-২
- দুপুর ১:৩০=> এম ভি ময়ূর-৭
- দুপুর ২:৩০=> এম ভি ঈগল-১/২/৩
- দুপুর ৩:৩০=> এম ভি রফরফ(প্রক্সি এম ভি আল বোরাক)
- বিকাল ৪:৩০=> এম ভি ঈগল ১/২(প্রক্সি এম ভি সম্পা)
- বিকাল ৫:৩০ => এম ভি সোনারতরী২/৫/৬
- ** সন্ধ্যা ৬:৩০=> বি আই ডব্লিউ টিসির রকেট সার্ভিস,যেটি চাঁদপুর হয়ে বরিশাল মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় সদরঘাট ১৩ নং পন্টুন থেকে(শুক্রবার সরকারি ছুটি)
- সন্ধ্যা ৬:৪৫=> এম ভি আল বোরাক
- রাত ৭:৪৫ => এম ভি সোনারতরী ২/৫
- রাত ৯ টা=> এম ভি আচল(লঞ্চটি মূলত ভোলার অন্তর্গত ইলিশা ঘাটের।কিন্তু মাঝের স্টপেজ হিসেবে চাঁদপুর ঘাট ধরে যায়)
- রাত ১১:১৫/২০=> এম ভি তাক্বওয়া/বোগদাদীয়া-৯
- (উল্লেখ্য,এই নৌযান টি চাঁদপুর ধরে যায় না যাবার সময়।কেবলমাত্র চরভৈরবী হতে আসার সময় চাঁদপুর ধরে যায়।)
- রাত ১১:৩০=> এম ভি আব এ জমজম
- রাত ১২ টা=> এম ভি রফরফ-২
- রাত ১২:৩০=> এম ভি প্রিন্স অফ রাসেল-৩
#চাঁদপুর_থেকে_ঢাকা
- সকাল ৬ টা=> এম ভি আল বোরাক
- সকাল ৬:৪৫=> এম ভি সোনারতরী-৫/৬
- সকাল ৭:২০=> এম ভি সোনারতরী-২/৫
- সকাল ৮ টা=> এম ভি ঈগল-১/২
- সকাল ৯ টা=> এম ভি ঈগল২/৩
- সকাল ৯:৩০=> এম ভি রফরফ
- সকাল ১০:৪০=> এম ভি বোগদাদীয়া-৯/তাক্বওয়া
- সকাল ১১:৫ => এম ভি প্রিন্স অফ রাসেল-৩
- দুপুর ১২ টা=>এম ভি রফরফ-২
- দুপুর ১ টা=> এম ভি আব এ জমজম
- দুপুর ২ টা=> এম ভি নিউ মেঘনা রানী
- দুপুর ২:৪০=> সোনারতরী-২/৫/৬
- দুপুর ৩:৩০=> এম ভি সোনারতরী
- বিকাল ৫ টা=> এম ভি বোগদাদীয়া-৭
- সন্ধ্যা ৬ টা=> এম ভি ইমাম হাসান-৫(প্রক্সি ইমাম হাসান-২ কিংবা ইমাম হাসান-০)
- রাত ৯:৪০=> এম ভি মিতালী-৪
- রাত ১১:১৫=> এম ভি ইমাম হাসান-২
- এর আগে দিয়ে এম ভি আব এ জমজম-১ সহ আরো কিছু অন্যান্য রুটের ঢাকাগামী লঞ্চ পেতে পারেন।
- রাত ১২:১৫=> এম ভি ময়ূর-৭
- রাত ১২:৪৫=> এম ভি ময়ূর-২
- রাত ১ টা=> বি আই ডব্লিউ টিসির রকেট সার্ভিস।
#বিভিন্ন_শ্রেণীর_ভাড়ার_তালিকা
- ডেক:- ১০০/-
- দ্বিতীয় শ্রেণী (নন এসি চেয়ার):- ১৩০-১৫০/-
- প্রথম শ্রেনী (এসি ইকোনোমিক চেয়ার):- ২২০-২৫০/-
- বিজনেস ক্লাস (এসি বিজনেস চেয়ার):- ২৭০/-
- সিঙ্গেল কেবিন (নন এসি) :- ৪০০/-
- সিঙ্গেল কেবিন (এসি):- ৪৫০-৫০০/-
- ডাবল কেবিন(নন এসি):- ৮০০/-
- ডাবল কেবিন (নন এসি):- ৯০০/-
- ভি আই পি কেবিন(সিঙ্গেল):- ১০০০/-
- ভি আই পি কেবিন(ডাবল):- ২০০০/-
বিশেষ দ্রষ্টব্য :- প্রতিটি টিকিট একজন ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য। সাথে অতিরিক্ত যাত্রী থাকলে তাদের জন্য একটি করে ডেক টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। যেমন আপনি ৪জন কে নিয়ে একটি ডাবল কেবিন নিলে সেটি ২ জনের জন্য প্রযোজ্য হবে।বাকি দুজনের জন্য অতিরিক্ত দুটি ডেক টিকেট নিতে হবে। কিংবা যদি সিঙ্গেল কেবিনে উঠেন,তবে সেটি একজন যাত্রীর জন্য প্রযোজ্য হবে।বাকি তিনজনের জন্য অতিরিক্ত ৩ টি ডেক টিকিট নিতে হবে।
রাত্রী যাপন
- চাঁদপুরে থাকার জন্য ছোট হোটেল আছে।
- ভাই ভাই আবাসিক হোটেল; ঠিকানাঃ তালতলী বাসস্টেশন, চাঁদপুর
- হোটেল সকিনা ঠিকানাঃ নতুন বাজার, চাঁদপুর
- হোটেল অতিথি ঠিকানাঃ ম্যাটারনিটি রোড, চাঁদপুর
- এছাড়া সরকারিভাবে সার্কিট হাউজ ও ডাকবাংলো আছে।
দৃষ্টি আকর্ষনঃ যেকোন সমস্যা কিংবা তথ্যের প্রয়োজনে কল দিয়ে যোগাযোগ করুন।
- ৩৩৩- জাতীয় তথ্য সেবা (সরকারি-বেসরকারি সকল তথ্য সেবা)
- ৯৯৯- জরুরী সেবা (পুলিশ, এম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস)
Leave a Reply