মোহনীয় মাগুরা
চিত্রা, নবগঙ্গা, মধুমতী, গড়াই বিধৌত সবুজ শ্যামল ভূমি মাগুরা বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। নদীকেন্দ্রিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঐতিহাসিক নিদর্শন ও লোকজ ঐতিহ্য ও শিল্প সাহিত্যে অগ্রসরমান জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম। মাগুরা খুলনা বিভাগের অন্তর্গত একটি ছোট জেলা। ঢাকা থেকে মাগুরার দূরত্ব ১৭৬ কিলোমিটার।
১০৪৯ বর্গ কিলো মিটার বিশিষ্ট মাগুরা জেলা উত্তরে রাজবাড়ী জেলা, দক্ষিণে যশোর ও নড়াইল জেলা, পূর্বে ফরিদপুর জেলা এবং পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা দ্বারা বেষ্টিত। মোট জনসংখ্যা ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১৯ জন।
মাগুরা জেলায় রয়েছে উপজেলা ৪টি (মাগুরা সদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা), পৌরসভা- ১ টি, ইউনিয়ন ৩৬ টি, গ্রাম- ৭৩০ টি, মৌজা- ৫৩৭ টি।
জেলায় অনেকগুলো নদী রয়েছে। গড়াই নদী, নবগঙ্গা নদী, ফটকি নদী, আলমখালি নদী, মধুমতি নদী, মুচিখালি নদী, মরাকুমার নদ, কুমার নদ, চিত্রা নদী, ভৈরব নদী, সিরাজপুর হাওর নদী, বেগবতী নদী এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। লোকসংস্কৃতি হিসেবে জারি গান, সারি গান, ভাটিয়ালি, কবিগান, হালোই গান, যাত্রা, পালা উল্লেখযোগ্য।
১৭৮৬ সালে বৃটিশ আমলে বাংলা প্রদেশের প্রথম গঠিত জেলা যশোর। কিন্তু একজন জেলা কর্মকর্তার পক্ষে এ বৃহৎ জেলার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মুলত মগ জলদস্যুদের হাত থেকে এ জেলার উত্তরাঞ্চলের জন সাধারণকে রক্ষা করার জন্যই ১৮৪৫ সালে যশোর জেলার প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসাবে মাগুরাকে ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
দর্শনীয় স্থান
- রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ -এর রাজবাড়ী
- শ্রীপুর জমিদার বাড়ি
- কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর বাড়ী
- বিড়াট রাজার বাড়ী
- তালখড়ি জমিদার বাড়ি
- পীর তোয়াজউদ্দিন -এর মাজার ও দরবার শরীফ
- চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট
- সিদ্ধেশ্বরী মঠ
- ছান্দড়া জমিদার বাড়ি
- কাদিরপাড়া জমিদার বাড়ি
- মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নঃ মাগুরা পিটিআই চত্ত্বরে গণকবর, ওয়াবদাপাড়া খাল, বিনোদপুর বাজার, গলাকাটা সেতু (ছাইঘারিয়া)। ছাইঘারিয়া স্মৃতি সৌধ পিটিআই প্রধান ফাটক মাগুরা বিশ্বরোড সংলগ্ন।
- রাজা সীতারাম রায়ের রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ
- সুলতানী আমলে প্রতিষ্ঠিত মাগুরা আঠারখাদা
- ভাতের ভিটা পুরার্কীতি
- শ্রীপুর জমিদার বাড়ী
- হজরত পীর মোকাররম আলী শাহ (র:) এর দরগাহ
- শত্রুজিৎপুর মদনমোহন মন্দির
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
- এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন,এমএনএ,ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
- সৈয়দ আতর আলী এমপিএ
- আহমেদ হোসেন, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ
- আব্দুর রশিদ বিশ্বাস এমপি
- এ্যডভোকেট মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান এমপি
- প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ সিরাজুল আকবর এমপি
- শ্রী বিরেন শিকদার এমপি, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
- এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর এমপি
- মেজর জেনারেল (অবঃ) এম মজিদুল-উল-হক এমপি
- নিতাই রায় চৌধুরী এমপি
- মেজর জেনারেল (অবঃ) এটি এম আব্দুল ওহাব এমপি
- কাজী সালিমুল হক কামাল এমপি
- মোঃ গোলাম ইয়াকুব বীর প্রতীক
- সাহিত্যিক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
- সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য
- কবি কাজী কাদের নেওয়াজ
- কবি ফররুখ আহমদ
- কবি মোহাম্মদ গোলাম হোসেন
- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী
- কবিরাজ ও সংস্কৃত পন্ডিত গঙ্গাধর সেন রায়
- শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন
- চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার
- বনানী চৌধুরী
- দিদার ইসলাম
- আবু সালেহ
- মিয়া আকবর হোসেন
- সৈয়দ আলী আহসান
- অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ
- অবিভক্ত পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় বাকু কাজী
- লেখক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ
- ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান
- আশিকুল কায়েস (সভাপতি, বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদ)
- মুরসালিন মাহাবুব (ডেপুটি অফিস সেক্রেটারি, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল হিউম্যান রাইটস)
- শ্যুটার শারমিন রত্না
- গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড প্রাপ্ত আব্দুল হালিম
- মোস্তফা শাকিল
যাতায়াত
সড়ক পথে – বাসযোগে ঢাকা গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে মাগুরা ১৭৬ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ঢাকা থেকে হানিফ, সোহাগ, ঈগল, দ্রুতি ও বিভিন্ন বাসে সব সময় মাগুরায় আসা যায়।
রাত্রী যাপন
মাগুরার আবাসিক হোটেলের মধ্যে আছে হোটেল পদ্মা গার্ডেন, হোটেল মধুমতি, হোটেল আল সাদ, হোটেল আল মনসুর, হোটেল চৌরঙ্গী ইত্যাদি।
Leave a Reply