পাবনা
লোক সংঙ্গীত, লোকগাঁথা, লোকনৃত্য, কৌতুক, নকশা, পালাগান, ইত্যাদি লোক সংস্কৃতিতে অত্যমত্ম ঐতিহ্য মন্ডিত জেলা পাবনা। অতি পুরাতনকাল হতেই এ জেলার বস্ত্র শিল্প প্রসিদ্ধ, গ্রামে গ্রামে বস্ত্র বয়নকারী হিন্দু মুসলমান উভয় জাতি সম্প্রদায় মিলে মিশে কাজ করে। তাঁত শিল্পে পাবনা জেলা সমৃদ্ধশালী। এখানকার শাড়ী, লুংগী ও গামছা বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
পাবনা জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চল ও জেলা। এর উত্তর দিক ঘিরে আছে সিরাজগঞ্জ জেলা আর দক্ষিণে পদ্মা নদী একে রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলা হতে পৃথক করেছে। এর পূর্ব প্রান্তদিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে এবং পশ্চিমে নাটোর জেলা। পাবনার আমিনপুর থানার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এসে পদ্মা ও যমুনা নদী পরস্পর মিলিত হয়েছে।
পাবনার জনসংখ্যা ২৬,২৪,৬৮৪ জন। উপজেলার সংখ্যা ৯টি, থানার সংখ্যা ১১টি, পৌরসভার সংখ্যা ১০টি, গ্রামের সংখ্যা ১,৫৪৯টি, ইউনিয়নের সংখ্যা ৭৪টি। উপজেলা গুলো হলো- আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী, চাটমোহর, পাবনা সদর, ফরিদপুর, বেড়া, ভাঙ্গুড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগর।
১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর স্বতন্ত্র জেলা হিসেবে পাবনা স্বীকৃতি লাভ করে। প্রত্নতাত্মিক কানিংহাম অনুমান করেন যে, প্রাচীন রাজ্য পুন্ড্র বা পুন্ড্রবর্ধনের নাম থেকে পাবনা নামের উদ্ভব হয়ে থাকতে পারে। তবে সাধারণ বিশ্বাস পাবনী নামের একটি নদীর মিলিত স্রোত ধারার নামানুসারে এলাকার নাম হয় পাবনা। প্রধান নদ নদী- গঙ্গা (পদ্মা), বড়াল, যমুনা, ইছামতি, আত্রাই, হুরাসাগর, চিকনাই নদী ও চলন বিল উল্লেখযোগ্য।
দর্শনীয় স্থান
- লালন শাহ সেতু|লালন শাহ্ সেতু (ঈশ্বরদী)
- হার্ডিঞ্জ ব্রিজ|হার্ডিঞ্জ ব্রীজ (ঈশ্বরদী)
- পাবনা মানসিক হাসপাতাল
- জোড় বাংলা মন্দির
- তাড়াশ ভবন
- পাকশী রিসোর্ট
- চাটমোহর শাহী মসজিদ|শাহী মসজিদ চাটমোহর
- জোড় বাংলা মাজার ভাঙ্গুড়া
- সমাজ শাহী মসজিদ
- আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ী (দুলাই)
- শাহী মসজিদ (ভাড়ারা)
- শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম (হেমায়েতপুর)
- নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস
- বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র (ঈশ্বরদী)
- পাবনা সুগার মিল্স (ঈশ্বরদী)
- সাঁড়া ঘাট
- ঈশ্বরদী বিমানবন্দর
- রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- নগরবাড়ী/নটাখোলা ঘাট (বেড়া)
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল (শহর/বিসিক শিল্প নগরী)
- কাঞ্চন পার্ক (সুজানগর)
- খয়রান ব্রীজ (সুজানগর)
- প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক (জালালপুর)
- দুবলিয়া মেলা (দুর্গা পুজার সময়)
- বড়াল ব্রীজ
- দীঘিরপিঠা (ফরিদপুর্)
- রাজা রায় বাহাদুরের বাড়ি (ফরিদপুর্)
- বেরুয়ান জামে মসজিদ (আটঘরিয়া)
- বেড়া পাম্প স্টেশন (বেড়া)
- বেড়া পোর্ট(বর্ষার সময়)
- ঐতিহাসিক তাড়াশ ভবন
- গাজনার বিল(সুজানগর),
- পাবনা মানসিক হাসপাতাল
- জোড় বাংলা মন্দির
- তাড়াশ ভবন,
- ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়ি
- শিতলাই জমিদার বাড়ি
- তের জমিদার বাড়ি (বেড়া)
- পাকশী রিসোর্ট
- শাহী মসজিদ, চাটমোহর,
- জোড় বাংলা মাজার ভাঙ্গুড়া,
- সমাজ শাহী মসজিদ,
- আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (দুলাই),
- তাঁতীবন্দ জমিদার বাড়ি
- শাহী মসজিদ (ভাড়ারা),
- শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম (হেমায়েতপুর),
- নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস
- বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র (ঈশ্বরদী),
- পাবনা সুগার মিল্স (ঈশ্বরদী),
- সাঁড়া ঘাট
- ঈশ্বরদী বিমানবন্দর
- রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- নগরবাড়ী ঘাট (আমিনপুর),
- নৌঘাট কাজিরহাট ও এখানকার পদ্মা যমুনার মিলনস্থল
- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল (শহর/বিসিক শিল্প নগরী),
- পাকশী
- কাঞ্চন পার্ক (সুজানগর),
- খয়রান ব্রীজ (সুজানগর),
- প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক (জালালপুর),
- দুবলিয়া মেলা (দুর্গা পুজার সময়)
- বড়াল ব্রীজ
- দীঘিরপিঠা (ফরিদপুর্),
- রাজা রায় বাহাদুরের বাড়ি (ফরিদপুর্),
- বেরুয়ান জামে মসজিদ (আটঘরিয়া)
- বেড়া পাম্প স্টেশন (বেড়া)
- বেড়া পোর্ট(বর্ষার সময়)
- কাশেম মোড়, রাখালগাছী (আমিনপুর)
- চন্দ্রনাথ সেনের জমিদার বাড়ি
- পাবনা মেডিকেল কলেজ
- সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব
- আবদুল করিম খন্দকার (এ.কে খন্দকার) – বীর উত্তম এয়ার ভাইস মার্শাল অব ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান সেনাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
- সুচিত্রা সেন – বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী।
- সাইফুল আজম – অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা। (পৃথিবীর ২২ জন লিভিং ঈগলের একজন )
- ছেফাত উল্লাহ বিশ্বাস ও ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস – (পাবনা জেলার সর্ব শেষ জমিদার ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী )
- বাপ্পা মজুমদার – জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী।
- বন্দে আলী মিয়া – একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।
- মাহমুদা সুলতানা – সর্ব কনিষ্ঠা “ইনোভেটর আব দ্য ইয়ার-২০১৭” বিজয়ী।
- শামসুর রহমান শরীফ ডিলু – ভূমিমন্ত্রী
- মোহিতমোহন মৈত্র (? – ২৮ মে ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
- রাজেন্দ্র লাহিড়ী – ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করার জন্য হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের নানা বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
- স্যামসন এইচ চৌধুরী – ব্যবসায়ী
- চঞ্চল চৌধুরী – অভিনেতা
- সালাউদ্দিন লাভলু -অভিনেতা ও পরিচালক
- আজিজুল হাকিম – অভিনেতা
- শাহনাজ খুশি – অভিনেতা
- বৃন্দাবন দাস – অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক
- রেদওয়ান রনি – চলচ্চিত্র পরিচালক
- কমরেড জসীম উদ্দিন – ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা
- শিক্ষাবিদ আবুহেনা মোস্তফা কামাল
- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার- কবি ও গীতিকার
কিভাবে যাবেন?
সড়ক পথে- ঢাকা থেকে পাবনায় বাসে যাওয়া যায়। এসি বাসে খরচ পড়বে ৩০০৳ আর নন-এসি বাসে খরচ পড়বে ৪০০৳। উল্লেখযোগ্য বাস সেবাগুলি হল: সি লাইন, পাবনা এক্সপ্রেস, সিলভার লাইন।
রেলপথে- পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল কাছাকাছি পাবনা রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। কাছাকাছি রেল স্টেশনগুলি তেবুনিয়া, চাটমোহর উপজেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত। ঈশ্বরদী উপজেলা উত্তর বাংলার এবং বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলওয়ে শাখা। এই জেলায় নয়টি রেলওয়ে স্টেশন আছে: ঈশ্বরদী, ঈশ্বরদী বাইপাস, পাকশি, মুলাদুলী, চাটমোহর, ভঙ্গুর, বরল সেতু, শারত নগর, দিলপশার এবং গুয়াকারা।
পাবনা শহরে কোন রেললাইন না থাকলেও কিছু ট্রেন ঈশ্বরদী মূল জংশনে থামে। চাটমোহর এবং ঈশ্বরদী রেল স্টেশন থেকে বাসে চড়ে সহজেই পাবনা শহরসহ পাবনার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব। যেসব ট্রেনে চড়ে চাটমোহর কিংবা ঈশ্বরদী যাওয়া যায়:
- খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস
- খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস
- রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
- রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস
- রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস
- দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস
খাওয়া দাওয়া
এখানে জলযোগের খিঁচুড়ি আর শিঙাড়ার অনেক সুনাম রয়েছে। এছাড়া কিছু জনপ্রিয় মিষ্টির দোকান রয়েছে, এখানের বনলতা সুইটসের দই, প্যারাডাইসের প্যাড়া সন্দেশ বিখ্যাত।
রাত্রী যাপন
এখানে বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। প্রথমত শীলটন, স্বাগতম রেস্তোরার দোতলায় হোটেল সুবিধা রয়েছে, আর পাবনা শহরের সবগুলো হোটেলই হামিদ রোড আর রুপকথা রোডে অবস্থিত। ভালো রিসোর্টের মধ্যে রয়েছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। পাবনা জেলার অন্যান্য উপজেলায় হোটেলের মধ্যে রয়েছে:
- উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলো, পাবনার সুজানগর বাজারের পূর্ব পার্শে সুজানগর থানা সংলগ্ন
- হোটেল ফায়সাল, হোটেল ফায়সাল ঈশ্বরদী, পাবনা
- প্রগতি রেস্তোঁরা, প্রগতি রেস্তোঁরা ঈশ্বরদী, পাবনা
- ওয়াবদা গেষ্ট হাউজ, বেড়া উপজেলা
- শাহীন আবাসিক হোটেল, বেড়া উপজেলা
- উপজেলা ডাকবাংলো, বেড়া উপজেলা
- জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, ভাঙ্গুড়া উপজেলার উপাজেলা পরিষদ ভবনের পাশে অবস্থিত দু’তলা ডাক বাংলো
Leave a Reply